শৈশব-সমাচার অর্থাৎ শৈশবকে প্রাণবন্ত ও প্রাঞ্জল করার ইতিবাচক বার্তাগুলো পাঠকের কাছে তুলে ধরাই বইটির উদ্দেশ্য। সর্বোপরি শৈশবের মানসিক স্বাস্থ্য বিবেচনা করেই বইটি রচিত হয়েছে।
বইটির মাধ্যমে শিশুর বয়স অনুযায়ী বিকাশের বিভিন্ন স্তর, প্রতিটি স্তরে অভিভাবকের করণীয় দিকনির্দেশনা এবং প্রাত্যহিক জীবনে শিশুদের নিয়ে আমরা যেসব সমস্যার সম্মুখীন হই, সেগুলো সমাধানের সহজ কৌশল মনোবৈজ্ঞানিকভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
বইটিতে বিভিন্ন অনুশীলন ও বাস্তব অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে সবার বোধগম্য করার চেষ্টা করেছি। শিশুকে তার নিজের মতো করে বেড়ে উঠতে অভিভাবকদের যেসব প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়, সে ব্যাপারে বইটির কৌশল বড়দের অবশ্যই সহায়তা করবে।
বইটি পড়ে পেশাদার মনোবিজ্ঞানী, এডুকেশনাল সাইকোলজিস্ট, ক্লিনিকাল সাইকোলজিস্ট, কাউন্সেলর, মা-বাবা, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ অভিভাবক, শিক্ষকসহ তরুণ-তরুণীরাও উপকৃত হবেন। কারণ বইটির মাধ্যমে তারা নিজেদের মধ্যে পরিবর্তন আনতে পারবেন। আর নিজের মধ্যে যখন পরিবর্তন আসবে, তখন অন্যরাও প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে উপকৃত হবেন।