বি:দ্র: “বইটি মজগ পঁচে যাওয়া মানুষগুলোর জন্যে নয়” হুমায়ুন আজাদ।
“প্রয়োজন আইনের তোয়াক্কা করে না” কথাটি বোধহয় এই গ্রন্থের বেলায় একটু বেশিই সত্য। যাইহোক বইটি প্রতিটি মানুষকে জীবনে একবার হলেও পড়তে বলেছেন, স্বয়ং “হুমায়ুন আজাদ”।
তিনি বলেছেন,
"এখন আর কিছুই দেখতে ইচ্ছে করে না। তাকালেই দেখি শয়তান ও ভাঁড়ের মুখ। আমার চোখ বোঝাই হয়ে গেছে আবর্জনায়; কেতুরের মতো দু-চোখ ভড়ে জমে উঠছে নগর, নেতা ও অভিনেত্রী।"
তিনি জানতেন, প্রাপ্তি আর প্রত্যাশার পার্থক্য হলো দুঃখ। তাই নিজের প্রত্যাশা কমিয়ে ফেলার মাধ্যমে দুঃখ কমানোর চেষ্টা নেহাত কম করেন নি তিনি। তার দুঃখটা বরাবরই মানুষের জন্যে। মানুষের অজ্ঞতা দূর করার জন্যে যে মরিয়া ছিলেন তিনি “হুমায়ুন আজাদ”। মানুষকে চিন্তার যে খোরাক তিনি তার লেখার মাধ্যমে দিয়ে গেছেন তা বাংলা সাহিত্যে সত্যিই বিরল আর বিষ্ময়কর!
ধার্মিকতা আর ধর্মান্ধতা এক জিনিস নয়। ধার্মিকতা মানুষকে আলোর পথে নিয়ে যায় কিন্তু ধর্মান্ধতা নিয়ে যায় ধ্বংসের দিকে। এ-দেশের মানুষ ধার্মিক না ধর্মান্ধ? তা যাচাইয়ের দায়িত্ব আপনার!
আপনার পিপাসিত মনের জ্ঞানের তৃষ্ণা দূর করতে পারবে, এমন গুটিকয়েক যে কয়টা গ্রন্থ বাংলা সহিত্যে আছে তারমধ্যে এটি প্রথম।