বি:দ্র: “একটি চাকুর প্রয়োজনীয়তা যেমন আছে তেমনি আছে ভয়াভহতাও। এটি দিয়ে কেউ ফল কাটে কেউ বা কাটে গলা। তাই আবারও বলছি আপনার মধ্যে ততটা পজেটিভ এনার্জি থাকলেই বইটি পড়ুন।”বইটি নির্দিষ্ট কিছু সংখ্যক পাঠক/পাঠিকাদের জন্যে। একেবারেই সাধারণ পাঠক/পাঠিকাদের বইটি পড়তে নিষেধই করবো। আমাদের বিবেক-বুদ্ধি, চিন্তা-চেতনা এগুলো অনেকটা বয়স, অভিজ্ঞতা এবং প্রচুর পড়াশুনার পর বিকশিত হয়। তাই চিন্তার ঐ উচ্চতায় যদি আপনি এখনো না পৌছান তাহলে বইটির প্রতি আগ্রহ প্রকাশ না করাই ভালো। সত্যি বলতে একেবারেই কাঁচা পাঠক-পাঠিকারা বইয়ের অনেক কনসেপ্ট কিছুই বুঝবে না।আহমদ শরীফ ভীষণ শক্তিশালী এবং উঁচু মানের লেখক তা অস্বীকার করার উপায় কারোরেই নেই। তাই উনার পাঠক শ্রেণিটাও অনেকটা তেমনি হয়। সবকিছু সবার জন্যে নয়। এই সত্য আমরা সকলেই জানি কিন্তু মেনে নিতেই যেন শত-সহস্র সমস্যা! আমি সাঁতার জানি না তবুও নিজেকে লোক দেখানো সাঁতারু প্রমাণ করতে চাওয়া টা আমার স্রেফ বোকামি। আগে পানিতে নামতে হবে, কিছু পানি খেতেও হবে। তারপরই না প্রবল ইচ্ছে আর হার না মানা মানসিকতার নিকট হার মানবে জল। “যুগ-যন্ত্রণা” বইটি চিন্তাশীল মানুষগুলোর নিকট একটা সাগর। সেই সাগরের জল থেকে শুরু করা ভেসে আসা কচুরিপানাও তাদের জানা। তাদের নিকট এটা উপভোগ্য। আর যারা নতুন কিছু ভাবতে পারেন না তাদের নিকট এটা এক ভয়াভহতা। বিশ্রি অভিজ্ঞতা। তাদের নিকট নিজেদেরকে মনে হবে উত্তাল সাগরে দিক হারানো দিশেহারা এক নাবিক।যুগ-যন্ত্রণা শেষ হবে না শেষ হবারও নয়।