আমাদের চারপাশে বিষ্ঠা'র মত যে নোংরামি গুলো ছড়িয়ে আছে তা একমাত্র হুমায়ুন আজাদ-ই পারেন,সঠিক ভাবে তুলে ধরতে। বইটিতে কখনো দেশের বাস্তবতা ,কখনো মানুষরুপী কুকুরের কথা অকপটেই তিনি বলে গেছেন। তিনি এক যাদুকরের কথা বলেছেন, যার স্পর্শ বড্ড বেশি প্রয়োজন এই দেশের মানুষগুলোর জন্য।
'অশেষ নরকও সহ্য করা যায়, কিন্তু তার মধ্যে ক্ষীণ স্বর্গের ঔদ্ধত্য সমস্ত স্নায়ু এবং কল্পনাকে এমন কড়াভাবে আগুনের চাবুক মারতে থাকে যে তাতে মানুষের মতো দানবেরাও মূর্ছিত হয়।'
রূপকের আড়ালে আজাদ বলে গেছেন এই আমাদের, সম্পূর্ণভাবে আমাদের হিংস্রতা এবং নৃশংসতার কথা। যে সমাজে আমরা বাস করি, তার কদর্যতা এভাবে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি।
তাঁর মাধুর্যময় শব্দভাণ্ডার এর সাহায্যে একগাদা বাস্তবতার নোংরামি এইভাবে প্রকাশ করা একমাত্র তাঁর পক্ষেই সম্ভব ছিল।
এটি হলো সেই গল্পগ্রন্থ, যা বাংলা গল্পের ভবিষ্যত কেমন হবে তা নির্ধারণ করে দিয়েছিলো। বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গল্পগ্রন্থের একটি এই “যাদুকরের মৃত্যু।”