পাগলা মাজারের ঝিলপাড় এলাকায় আসার পরেই আমার জীবনের সব অদ্ভুত ঘটনাগুলো ঘটতে থাকে। কাশেম খানের মেয়ে রুমাকে আমি পড়াতাম। রুমা মেয়ে হিসেবে খুব ভালো। আমি ছেলে হিসেবে মন্দ না। পুরুষালি কিছু মন্দ গুণ হয়ত আমার মধ্যেও ছিল। কিন্তু তারপরেও আমি রুমাদের বাসায় পড়াতে যেতাম রুমাকে দেখার জন্য কিংবা তার প্রতি আমার কোনো দুর্বলতার জন্য না। রুমা যদিও আমাকে অসম্ভব পছন্দ করত। বিষয়টা আমি জানতাম। সে জুনু আপার সাথে এই বিষয় নিয়ে কথা বলেছিল। অথচ আমি রুমাদের বাসায় যেতাম ওদের যে অন্ধ মাদী কুকুরটা ছিল সেটাকে দেখার জন্য। কুকুরটার প্রতি আমার একটা অন্ধমোহ জেগে উঠছিল। আমি কুকুরটাকে ভালবাসতাম। ও আমার ভালোবাসা বুঝত। আমি মাঝে মাঝে গলির মুখে দাঁড়িয়ে কুকুরটাকে দোকান থেকে এটা সেটা কিনে এনে খাওয়াতাম। রুমাকে পড়াতে গেলে সে মাঝে মাঝে খুব অভিমান করে বলত আপনি ভাইয়া একেবারে বোকার হদ্দ। আমাকে পড়ানোর চেয়ে আমাদের বাসার ঐ কুকুরটার প্রতিই আপনার মনোযোগ বেশি।