"তিনি একাই নিজের বিপুল মেধা ও মনীষার জোরে এমন এক যুগের সূচনা করেছেন যা যুক্তি ও বুদ্ধির উত্তাপে প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছিল। উইল ডুরান্টের মতো একালের প্রধান ঐতিহাসিক তাই সেই যুগটিকে কেবল ‘ভলতেয়ারের যুগ’ই বলেছেন, লিখলেন The Age of Voltaire নামে সহস্রাধিক পৃষ্ঠার একটি খণ্ড। সে-যুগের লেখক, সাধারণ পাঠক, এমনকি শাসকদেরও আলোড়িত করেছিলেন তার প্রতিভাদীপ্ত লেখার দ্বারা। ধর্মান্ধতা ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে ক্ষুরধার লেখার কারণে তিনি হয়ে উঠেছিলেন এক জ্বলন্ত তরবারি। ইউরোপে তার আগে এবং পরেও জ্ঞানে, পাণ্ডিত্যে ও সৃজনীশক্তিতে এতটা প্রখর ও শাণিত ব্যক্তিত্বের আবির্ভাব ঘটেনি। তার একেকটি গ্রন্থ যেন বারুদে ঠাসা বিস্ফোরকের মতো ছিল, যা পাঠের স্পর্শমাত্রই দাউ দাউ করে জ্বলে উঠেছে। ভলতেয়ার ছিলেন ইউরোপের সেই অতিকায় ড্রাগন, যার মুখ থেকে বিচ্ছুরিত হতো আগুনের গোলা, আর সেই আগুন ঝলসে দিয়েছে দাম্ভিক রাজপুরুষ থেকে শুরু করে ভণ্ড, অজ্ঞ ও বদ্ধমনের নিষ্প্রাণ পণ্ডিত থেকে শুরু করে নিষ্ঠুর অন্ধবিশ্বাসীদের মুখমণ্ডল। কবি, প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক রাজু আলাউদ্দিন তার উন্মীলক ও উদ্দীপক গদ্যে ফরাসি সাহিত্যের এই দিকপালের কালোত্তর ভাবনাগুলো তুলে ধরেছেন অনতিকায় এই গ্রন্থে।"