অয়নের চোখে ধীরে ধীরে ঘুম নেমে এল। সে খুব চেষ্টা করছে জেগে থাকার। জেগে জেগে এমন নির্মম বাস্তবতার কথা চিন্তা করবে। আর ভাগ্য বিধাতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে থাকবে। কিন্তু ভাগ্য বিধাতা হয়তো এভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হতে চান না, অয়নের চোখে তাই ঘুম জড়িয়ে এল। সে গভীর ঘুমে তলিয়ে গেল। ঘুমের মাঝেই অয়ন স্বপ্ন দেখল। মালার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। অয়ন মালাকে খুঁজছে বিয়ের আসরে। মালার সাথে আজকের পর আর কোনোদিন কথা হবে না। তাকে বনলতা সেন কবিতাটা শোনানো দরকার এবং তা বিয়ে হয়ে যাওয়ার আগেই। কিন্তু মালাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অয়ন ছুটছে, ছুটছে আর মৃদু কণ্ঠে আওড়াচ্ছে, ‘চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য, অতিদূর সমুদ্রের পরহাল ভেঙে যে নাবিক হারায়েছে দিশা।