আমাদের সমাজে এমন কিছু ব্যক্তি পাওয়া যাবে যারা আর দশজন মানুষ থেকে ভিন্ন। তারা অনেক ক্ষেত্রে নিঃসঙ্গ এবং তাদের চারপাশের জগৎ ও মানুষ সম্পর্কে উদাসীন। এরা অন্যের সাথে কখনোই কোনো সামাজিক বা আবেগিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে না। এমনকি তার পরিবারের সদস্যদের সাথেও দু-একটি বিষয় ছাড়া কোনো আন্তযোগাযোগ বা মনোভাবের আদান-প্রদানে সক্ষম নয়। কখনো কখনো এমন কিছু পুনরাবৃত্তিমূলক আচরণ করে যা সবার দৃষ্টিতে শোভনীয় নয়। এরা অন্য মানুষের চিন্তা, অনূভুতি ও চাহিদা বুঝতে পারে না। ব্যক্তির এরূপ আচরণ পর্যবেক্ষণ করে প্রথম ‘পল উগেন ব্লোইলার’ নামের একজন চিকিৎসক ১৯১২ সালে এই সমস্যার নামকরণ করেন ‘অটিজম’, যার বাংলা করলে দাঁড়ায় ‘আত্ম-মগ্ন ব্যক্তি’। অর্থাৎ যে ব্যক্তি সর্বদা নিজেকে নিয়েই মগ্ন থাকতে পছন্দ করে এবং খুব কম ক্ষেত্রেই অন্যের সাথে ভাববিনিময়ের চেষ্টা করে।
দিন দিন এ রকম অটিজম মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলছে। অটিজম সম্পর্কে সঠিক তথ্য ও ঠিক সময়ে সম্মিলিত চিকিৎসা নিলে অটিজমের মাত্রা অনেক অংশে কমিয়ে আনা সম্ভব।
তিতলি মূলত একজন অটিস্টিক শিশুর গল্প।