সলিমুল্লাহ খানের জানার,দেখার আর পড়াশোনার গণ্ডি অতিব্যাপক, যার স্বাক্ষর লেখনীতে বিদ্যামান। বেশ তথ্যসমৃদ্ধ একটি বই যা চিন্তার খোরাক জোগাতে বাধ্য। সাম্রাজ্যবাদীরা কীভাবে নন ইস্যুকে ইস্যু বানিয়ে আগ্রাসন চালায় লেখক তা তুলে আনেন বিস্তারিত ভাবে। সলিমুল্লাহ খান একজন অসাধারণ বক্তা, আর মন্ত্রমুগ্ধকর লেখক। উনার জ্ঞানের গন্ডি এতই ব্যাপক যে, রীতিমত যে কারোই ঈর্ষা হবে। পুরো বইতে, প্রতিটা লাইনে তিনি তার ছাপ রেখে গিয়েছেন।
বইটার নাম বেশ বিচিত্র। কেন এই আজিম কিসিমের নাম তার স্বপক্ষে
সলিমুল্লাহ খান লিখেন-
"বাংলা সন ১৪০৯ হইতে ১৪১৩- পর্যন্ত এই পাঁচ বৎসরের ভিতর আমার স্বাক্ষরে প্রকাশিত সাত নিবন্ধ ও দুই তর্জমা সম্বল করিয়া ইতিহাস কারখানাঃ প্রথম কান্ড ছাপা হইল। সঙ্কলিত একটি প্রবন্ধেরর নামে প্রথম কান্ডের নামম সত্য,সাদ্দাম হোসেন ও স্রাজেরদৌলা রাখিলাম। আমরা এখন যাঁহাকে সিরাজুদ্দৌলা নামে জানি তাঁহার নাম ঊনবিংশ শতাব্দীরর গোড়ার দিকে কখনো কখনো "স্রাজেরদৌলা " লেখা হইত।এই বয়ানের বৃত্তান্তই ইতিহাস কারখানা।"
সত্যি বলতে, সাদ্দাম হোসেন ও সিরাজুদ্দৌলার অবস্থার মধ্যে যে তুলনা হতে পারে তা কখনোই ভাবিনি! এই তুলনা এবং সিরাজুদ্দৌলা সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য বইটিকে আকর্ষণীয় করেছে। বইটি আপনার পড়া না থাকলে আর দেরী করা ঠিক হবে না। কিছু বই আমাদেরকে পড়তেই হয়। পড়াটা জরুরি। আর সেই জরুরি পড়া বইগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।