ষ্টি আকর্ষণ: “প্রতিটি অভিভাবকদের উচিৎ তাদের স্নেহের সন্তান কিংবা ভাই-বোন অথবা তাদের প্রিয় ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বইটি পড়ার সুযোগ করে দেওয়া।”
এই একটামাত্র বই, যা বদলে দিবে প্রতিটি শিক্ষার্থীর জীবন। তাদের রোজকার জীবন যাত্রায় এনে দিবে আমূল পরিবর্তন। একটু পিছিয়ে পড়া কিংবা পড়াশুনায় স্ট্রাগল করতে থাকা ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এটি এক যাদুকরি গ্রন্থ। যে যাদুর ছোঁয়ায় ইতিমধ্যেই বদলে গেছে অসংখ্য শিক্ষার্থীর জীবন। পড়াশুনায় পিছিয়ে থাকা শিক্ষার্থীদেরকে বইটি পড়তে দিন, আপনার উপর রয়ে যাবে তাদের আজীবনের ঋণ।
পরিশ্রমই যদি হতো সৌভাগ্যের একমাত্র চাবিকাঠি তবে এতদিনে একজন দিন-মজুর, রিক্সা-চালক কিংবা নিম্ন আয়ের মানুষজনই হতো পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি সফল। এখন বলা যেতে পারে এই মানুষগুলো সঠিক সময়ে কঠোর পরিশ্রম করেনি তাই তাদের জীবনের এই পরিণতি। না বিষয়টা পুরোপুরি সঠিক নয় বরং আংশিক ঠিক।
ঠিক সময়ে পরিশ্রম তো গাঁধাও করেছে কিন্তু গাঁধা কি তার সামাজিক অবস্থার কোনো পরিবর্তন করতে পেরেছে?
পরিশ্রম নয় এখন প্রয়োজন কৌশল। এডিসনের সাথে টেসলার এত বৈরী সম্পর্কের পেছনে কি শুধুই স্বার্থ জড়িত? না মোটেই তা নয় বরং জড়িত ছিল দুজনের ভিন্ন আইডিওলজি। এডিসনের থিওরি আটকে ছিল ঐ অধ্যাবসায়েই কিন্তু টেসলা গুরুত্ব দিতেন স্মার্টনেসে। তিনি মনে করতে অল্প পরিশ্রমে অধিক ভালো ফলাফল বের করে আনার মধ্যেই সফলতা।
টেসলার সেই থিওরিটাই আধুনিক এই যুগের সাথে প্রাসঙ্গিক। এখন আর শুধু অধ্যাবসায় নয় বরং তার সাথে সমান গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন স্মার্টনেসে। প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্যে শুভ-কামনা। বদলে যাক তারা বদলাক বাংলাদেশ।
বি:দ্র: আপনি একজন শিক্ষক-শিক্ষিকা/অভিভাবক যেই হোন না কেন যদি সুযোগ থাকে আপনার প্রিয় সন্তান কিংবা ছাত্র-ছাত্রীকে বইটি উপহার দিন। বট বৃক্ষের মতো নিরবে যে ছায়া আপনারা দিয়ে যাচ্ছেন সেই ঋণ টা এবার আরেকটু বেড়ে যাক।