পুরো বইটাই যেন একটি যৌনতার শিল্প। যৌনতাকে ঘিরে রচিত এই উপন্যাসটির বেশির ভাগ অংশেই চরম বাস্তবতাকে নির্দেশ করে। ব্রিজ, সাঁকো, পুল দিয়ে হুমায়ুন আজাদ নারী-পুরুষের কামের ফিরিস্তি টেনেছেন। হুমায়ুন আজাদকে পড়তে এজন্যেই বুঝি নিষেধ করা হয়। এই বই না পড়লে লেখককে এত নিবিড়ভাবে চিনতাম না। তার একেকটি বাক্যে ফুটে উঠেছে বইটির গভীরতম বর্ণনায়। যা যেকোনো প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে ভীষণরকম ভাবে আকৃষ্ট করবে।
আট বছরের মাহবুবের চোখে সকালের নতুন বউটির গোসল নিয়ে প্রশ্ন জাগে। জাগে কাজের মেয়েটির
প্রতি কামনা। একে একে তিনু আপা, শেফালিদি, রওশনকে স্বপ্নে এঁকে কাটে তার শৈশব। মাহবুব বেড়ে ওঠে। স্ত্রী ফিরোজার সঙ্গে তার যায় না। সে অন্য ফুল খোঁজে। খোঁজে আসল মধু। জীবনের ক্রান্তিলগ্নে এসে মাহবুব উপলব্ধি করে তার মৌচাকের মধু শুকিয়ে এসেছে। সে নিঃসঙ্গবোধ করে। একলা হয়ে পড়ে।