বি:দ্র: “বইটি সকল শ্রেণির সকল পেশা-জীবির পাঠক/পাঠিকার জন্যে”। এটি কেবলই একটি বই নয় বরং একটি অ্যান্টিবায়োটিক। কেননা এটি কাজ করে ধীরে, কিন্তু মনে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়া গুলোকে ধ্বংস করে চিরতরে। একজন ঘুষখেকো মানুষ তার ঘুষের একটা অংশ প্রতিবছর রেখে দিচ্ছে হজ্জ্বের জন্যে। ব্যাস তথাকথিত সমাজ তার নামের আগে বিশেষণ হিসেবে যোগ করে দিচ্ছে “হাজী”। সারাবছর যে মানুষটা পানি গেলার মত ঘোষ খেয়ে গেল, সুদ খেল ভাতের মত সেই মানুষটাই বছর না ঘুরতেই হয়ে উঠলো হাজী। কালো টাকার একটা অংশ দান করে দিয়ে রক্তচোষা মানুষটা হয়ে উঠল দানবীর! এটাই যদি হয় সমাজের নীতি তাহলে এদের আর কীসের ভীতি? মানুষের বিবেক হচ্ছে মাটির মত। উর্বর মাটি ব্যতিত যেমন ভালো ফসলের আশা করা যায় না তেমনি বিবেকহীন মানুষগুলোর কাছ থেকেও ভালো কিছু আশা করা যায় না। এটা অনেকটা কামারের দোকানে কুর-আন পাঠ বৈকি! আমার আপনার কাছে কোনটা ভালো আর কোনটা মন্দ? সহজ কথায় বললে, আমার আপনার স্বার্থের বাইরে যা আছে তার সবকিছুই খারাপ! এই ধ্যান-ধারণাগুলোকে যদি এখনো আমরা নিজেদের মধ্যে অতি যত্মে লালন করি তবে আগামীর ভবিষ্যৎ আরও ভয়াবহ। সেই দূরদর্শীতা একজন আহমদ শরীফের ছিল সেজন্যেই তিনি অনন্য। একজন স্বার্থপর বিবেকহীন মানুষের নিকট বইটিকে বিষাক্ত মনে হবেই কেননা আহমদ শরীফকে হজম করা এত সহজ না। বাংলা সাহিত্যে এমন শক্তিশালী লেখা আর চিন্তার মিশ্রণ পাওয়া ভীষণ দুষ্কর।