আহমদ মুসা সন্ধান পেল আন্টালিকের নতুন গুলাগ খ্যাত সাও তোরাহর। যেখানে স্পুটনিকের সাত গোয়েন্দাসহ শত মুসলিম বন্দি। আহমদ মুসার লক্ষ্য সাও তোরাহর যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম সাবমেরিন দখল। অপরদিকে আজর ওয়াইজম্যানের বন্দিদের হত্যা করে সাও তোরাহ থেকে সরে পড়ার আয়োজন সম্পন্ন। আহমদ মুসা কি পারবে তাদের উদ্ধার করতে? একজন পাগল ইহুদি রাব্বিকে খুঁজছে আহমদ মুসা, যার কাছে রয়েছে অনেক প্রমাণ। এ কাজে তাকে সাহায্য করছে স্পুটনিকের কয়েকজন গোয়েন্দা, নতুন-পুরাতন কিছু বন্ধু এবং জর্জ আব্রাহাম। বিপদের ঘনঘটায় মদিনায় সদ্য প্রসূত সন্তানকেও দেখতে যেতে পারেনি সে। তার সামনে একটাই লক্ষ্য, টুইন টাওয়ার ধ্বংসের মিথ্যার ধ্বংসস্ত‚প থেকে সত্যকে উদ্ধার করা। কিন্তু তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে নিজেই ফাঁদে পড়ল আহমদ মুসা। এসময় আলোকশিখা হয়ে হাজির হন আয়েশা আহমদ ও মরিস মরগ্যান। একের পর এক উদ্ঘাটিত হতে থাকে টুইন টাওয়ার ধ্বংসের সকল তথ্য প্রমাণ। আন্দামানের অপদেবতার কালো থাবায় অনেকের মতো হারিয়ে গেছে শাহজাদা আলমগির শাহ। পুলিশ, সিবিআই নিষ্ক্রিয়। অবশেষে দ্বীপের মুসলমানদের আত্মচিৎকার পৌঁছে আহমদ মুসার কানে। ছুটে আসে আন্দামানে। সন্ধান পেলেন গভর্নর বালাজির কন্যা সুষমা রাওয়ের। আন্দামানের মুসলমানরা এই কালো থাবা হতে মুক্তি পাবে কি?