আমি জাশুরিট; নামের আগে ‘জনাব’ নয় ‘জনৈক’ বিশেষণ পাওয়াই যার নিয়তি। আমি যে গল্পটা শোনাতে চাই তার পটভূমি আফ্রিকার এক কাল্পনিক দেশ, পশ্চাৎপট ২০৩৯!
মাত্র এক বাক্যেই হয়ে যাক গল্পের বিজ্ঞাপন-
Downfall directing delusional Discourse!
বিবিধ বর্ণিল চরিত্র আর অজস্র প্রতীককে পাশে ঠেলে লেখক কেন আমাকেই দায়িত্ব দিলেন গল্পের প্রচারণা চালানোর, প্রশ্নটা আপনাদের মতো আমারও। শুনেছি উত্তর মিলতেও পারে অপেক্ষায়। গল্পপ্রচারক, নাকি চরিতস্র কোনো পরিচয়ে আপনারা চিনবেন আমাকে; সংশয়টা তবু রয়েই যাচ্ছে। মূল প্রসঙ্গে আসি: কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, মতবাদ এবং কর্মফলসংক্রান্ত মূল্যায়নের ক্ষেত্রে আপনাদের গড় রংবোধ নিয়ে যদি প্রশ্ন তুলি আহত হবেন কি? হয় সাদা অথবা কালো; কেউ কেউ উদারতাবশত ধূসরকে টেনে নেন ভারসাম্য প্রতিষ্ঠায়। তাতে মনরক্ষা হলেও মানরক্ষা কি করা যায়?
এই অমীমাংসিত সংমিশ্রণে সাদা-কালোকে লাগছে নিছকই রংহীনতার নিস্ফল পরিণতি। প্রশ্নটা তাই টগবগে প্রাসঙ্গিক; বাকি চার রং গেল কই? ভেবেছিলাম বইয়ের মুখবন্ধ অংশে অজন্তা হালদারকেও করব প্রশ্নটা, লেখকের ধূর্ততায়-ধৃষ্টতায় উল্টো নিজই ফেঁসে গেলাম আজান্তার প্রশ্নের জালে ।
আমি জাশুরিট, এক বিশেষ বিমান নিয়ে বাসে আছি টার্মিনালে। কতিপয় কৌতুহলী আর কল্পনাপ্রিয় যাত্রী নিয়ে উড়াল দিব নিজ দেশের গন্তব্যে। উৎসাহী হলে উঠে পড়ুন এখুনি ছাড়বে ফ্লাইট; সময় মাত্র সাত মিনিট