এই গল্পের শুরু একটি লঞ্চঘাট থেকে।
মানিকগঞ্জের এক অখ্যাত গ্রামের তথাকথিত ‘জমিদার’ ঢাকা সফরে যাবেন। সঙ্গে যাবেন তার তিন পুত্র ও একটি ঘোড়া।
কিন্তু ঘোড়াটি কিছুতেই লঞ্চে উঠতে চাইছে না। এই ছোট্ট সংকট থেকে গল্পের শুরু, তারপর গল্প ক্রমে ছড়িয়ে পড়ে কলকাতা, ঢাকা আর রাওয়ালপিন্ডিতে।
গল্পে একে একে এসে হাজির হন সুচিত্রা সেন, উত্তমকুমার, শামসুর রাহমান, আল মাহমুদ, কলিম শরাফী, জহির রায়হান ও আরও অনেকে।
তবে সময়টা কেবল প্রেমের নয়, দ্রোহেরও। কাজেই এই গল্পে এসে পড়েন মাওলানা ভাসানী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং আইয়ুব খান স্বয়ং।
তবে এটা ইতিহাস নয়, নিছক গল্প। প্রেমের গল্প, ঘৃণার গল্প, বিশ্বাস ও বিশ্বাসভঙ্গের গল্প। মানবমানবীর সম্পর্কের চিরায়ত আখ্যান।
কাজেই এ গল্পে আতিক প্রতারিত হয় কলকাতার নন্দিনীর কাছে। অন্যদিকে সুফিকে ভালোবাসায় বরণ করে নেয় পরীবানু।
এই গল্পের শুরু ১৯৬৩ সালে, শেষ ১৯৬৯-এ ।
কৌতূহলী মানুষ আশীফ এন্তাজ রবি যতবার ইতিহাসের বই খুলে বসেছেন, ততবার তাকে হাতছানি দিয়ে ডেকেছে গল্পকার আশীফ এন্তাজ রবি। ইতিহাসের টেবিল থেকে তাকে টেনে এনেছে গল্পের চোরাগলিতে।
পূর্বপুরুষ এমন এক আখ্যান যেথায়—গল্প গিয়ে মিশেছে ইতিহাসে কিংবা ইতিহাস পথ হারিয়েছে গল্পের চোরাপথে।
গল্প হয়ে উঠেছে ইতিহাস, অথবা ইতিহাস হয়েছে গল্প।