সন্তানের মানসিক বিকাশে মাতাপিতার ভূমিকা অপরিসীম। কল্পনাশক্তির পূর্ণতা, সৃজনশীলতার পূর্ণাঙ্গতা, ইতিহাস-সচেতনতা, বিজ্ঞানমনস্কতা, অন্ন বস্ত্র বাসস্থান শিক্ষা ও স্বাস্থ্যচিন্তা , ধর্ম ও দর্শনচিন্তা, ইত্যাদি নানা বিষয়ের পরিপূর্ণ বিকাশে পিতামাতাই হতে পারে যথাযথ কাণ্ডারি। এই বইয়ের মূল বিষয় একটু ভিন্ন আঙ্গিকে চিঠির মাধ্যমে পুত্রকে উপদেশ প্রদান। এখানে একজন পিতা তার পুত্রকে নানা বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন ধাপে ধাপে পত্রের মাধ্যমে। প্রতিটি পত্রে রয়েছে এক একটি ছোট ছোট বিষয়ের বর্ণনা, যা একজন পাঠকের মনে চিন্তার খোরাক জোগাবে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা এটি পড়ে নিজ জীবনে প্রয়োগের মাধ্যমে হয়ে উঠতে পারবে উন্নত ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমরা বই বলতে পাঠ্যপুস্তক বা গল্প-কবিতার বইকে বুঝি। কোনো কোনো পিতামাতা সন্তানকে কেবলমাত্র নিজেদের পছন্দের গ্রন্থ পাঠে বাধ্য করেন, যা যথার্থ নয়। নতুন প্রজন্মের অনুসন্ধিৎসু মনকে ধর্ম, দর্শন, বিজ্ঞান সবকিছুই জানতে দেওয়া উচিত। বর্তমানকালের এই জটিল সময়ে সমাজ ও কর্মক্ষেত্রে সন্তানের অবস্থানকে দৃঢ় করতে প্রয়োজন বহুমুখী চিন্তাভাবনার দ্বার উন্মোচনের। আমাদের বর্তমান ও আগামী প্রজন্ম যাতে লেখাপড়ার পাশাপাশি দক্ষ, যোগ্য ও আদর্শ মানুষ হিসেবে নিজেদেরকে গড়ে তুলতে পারে এবং দেশ ও জাতির উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখতে পারে, সেসব দিকনির্দেশনাই দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে এই গ্রন্থে।