জগদীশচন্দ্র বসু শুধু সাহিত্যের জগতে বিচরণ করলেও যে খ্যাতি অর্জন করতে পারতেন—সেই স্বীকৃতি দিয়েছেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই স্বীকৃতি যে সঠিক তার প্রমাণ অব্যক্ত সংকলনটি।
এই গ্রন্থের লেখাগুলো খুবই সহজ-সরল, শিশু-কিশোরদের পাঠোপযোগী। যেমন আকাশ-স্পন্দন ও আকাশ-সম্ভব জগৎ প্রবন্ধে তরল ও বায়বীয় পদার্থের মধ্য দিয়ে শক্তি কীভাবে শব্দ, বিদ্যুৎ ও সূর্যকিরণরূপে প্রবাহিত হয়, তার সরল বর্ণনা করা হয়েছে। গাছের কথা প্রবন্ধে লেখক গাছের সঙ্গে অন্যান্য জীবের জীবনপ্রণালির সহজে দৃশ্যমান মিলগুলোর বর্ণনা দিয়েছেন। উদ্ভিদের জন্ম ও মৃত্যু প্রবন্ধে লেখক একটা সাধারণ উদ্ভিদের বীজ থেকে পূর্ণাঙ্গতা প্রাপ্তি, বংশবিস্তার ও মৃত্যুর বিবরণ দিয়েছেন।
উদ্ভিদের যে প্রাণ আছে, এই মৌলিক আবিষ্কারটির মধ্যেই লুকিয়ে আছে প্রাচ্যের বিজ্ঞান ও দর্শনচিন্তার বীজসূত্র। তাই জগদীশ চন্দ্র বসু এবং তাঁর এই গ্রন্থটি আমাদের বিজ্ঞানের ইতিহাসে এত গুরুত্বপূর্ণ।