নাফ নদীর ওপারে
পৃথিবীতে মানব সন্তানদের ক্রমবিকাশের প্রথম পর্যায় থেকেই কলহ চলমান। যুদ্ধ-বিগ্রহ করেই মানব অস্তিত্ব টিকে আছে সুখের আশায়। অন্ধকার সময়কে পেছনে রেখে পৃথিবীকে মানুষ করেছে অতি আধুনিক। সময়ের তালে ভূ-পৃষ্ঠের সকল অন্যায়কে অপরাধ বলতে শিখেছে মানুষ। মানুষের অধিকারের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জাতিসংঘসহ নানান মানবাধিকার সংগঠন। তারপরও এক শ্রেণীর মানুষ প্রতিনিয়ত হচ্ছে নিগৃহীত। পৃথিবীর সর্বত্র নিগৃহীত সেইসব মানুষদের একটাই পরিচয়; তারা মুসলমান। ফিলিস্তিন থেকে কাশ্মির, আফগানিস্তান-ইরাক-লিবিয়া-সুদান-বসনিয়া-চেচনিয়া-ইয়েমেন থেকে আরাকানসহ পৃথিবীর সকল স্থানে বাতাসে ধ্বনিত হচ্ছে মুসলমানদের হাহাকার। কিন্তু কেন এই মানুষগুলোর ওপর এত নীপিড়ন-নির্যাতন? এমন প্রশ্নের উত্তর কোনো সভ্য সমাজ আজ আর দিতে পারবে না। যতক্ষণ না মুসলমানরা এক হতে পারবে, নিজেরা নিজেদেরকে সাহায্য করতে পারবে, ততক্ষণ পৃথিবীর এমন কোনো সম্প্রদায় নেই, যারা মুসলিম জাতিকে তাদের অতীত ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে দেবে। মুসলিম নেতারা অতি সত্ত্বর ঐক্যের সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে, নিকট ভবিষ্যতে আরাকান, কাশ্মীর ও ফিলিস্তিনের মতো বহু মুসলিম ঐতিহাসিক রাজ্য তার সঠিক ইতিহাস হারাবে। আরাকানে রোহিঙ্গা মানুষগুলো হাজার বছরের বসতির স্থান মাতৃভূমি আরাকানে ন্যায্য অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকবে এবং নিজ ধর্মীয় অনুশাসন লালন করার প্রয়াসে আগত সন্তানদের সুযোগ দিবে উন্মুক্ত বিশ্ব।