বি:দ্র: পৃথিবীর সবকিছুই যেমন সবার জন্যে নয় তেমনি এই বইটিও সবার জন্যে নয়। বইটি শুধুমাত্র চিন্তাশীল এবং বিজ্ঞ পাঠক/পাঠিকাদের জন্যে। অন্যথায় হীতে-বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কেননা প্রতিটি নতুন চিন্তা একাধিক পথের সৃষ্টি করে, চিন্তায়,প্রজ্ঞায় খুব উঁচুমানের না হলে সঠিক পথ নির্ণয় করাটা বেশ শক্ত কাজ।
মসজিদ ভাঙে ধার্মিকেরা,মন্দিরও ভাঙে ধার্মিকেরা তারপরও তারা দাবী করে তারা ধার্মিক, আর যারা ভাঙাভাঙিতে নেই তারা অধার্মিক বা নাস্তিক। তবে বিদ্রপের বিষয় এই, বাইবেল বুদ্ধিমান লোকদের ভেড়া বলে।
কেন বলে সেটা বুঝার কান যাদের আছে তারা ঠিকই তা উপলব্ধি করে। “মূর্তিভাঙা প্রকল্প” নামক এই মাস্টারপিসটায় আসল মূর্তি ভাঙতে নয় বরং বুদ্ধি ও বিবেচনাবোধকে বন্ধক দিয়ে ভক্তিবাদে নিমজ্জিত জাতিকে লেখক চিন্তাশীল হতে বলেছেন। তিনি বলেন,
‘‘ মূর্খকে জ্ঞান দেওয়া যায়। কিন্তু মূর্খ হয়েও যিনি জ্ঞানীর ভান ধরেন, তাকে জ্ঞান দেওয়া যায় না। ’’
বইটি বেশ বিতর্ক সৃষ্টি করার ক্ষমতা রাখে। আমার মতো সল্পজ্ঞানী এটা নিয়ে ইতিবাচক-নেতিবাচক কিছু বলার মানে নিজের অজ্ঞানতা ঢাকার জন্য জ্ঞানী সাজার ভান করা।