খুব বেশি আড়াল ছাড়াই তিনি উত্তর দিয়েছেন। বিশ ও একুশ শতকের যে সংকট, সাহিত্যতত্ত্ব, যান্ত্রিক বিবর্তন সবই প্রশ্নে অন্তর্ভুক্ত ছিল। ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ তিনি এড়িয়ে যেতে চাননি। কারণ সাহিত্যের উৎসমূলে সেগুলো দারুণ কার্যকরী। প্রাচ্য ও প্রতীচ্য পুরাণের তিনি এক বিশেষজ্ঞ, সাহিত্যের ক্ষেত্রে, শ্রেণিকক্ষে পাঠগ্রহণ ও পাঠদানে যেহেতু তিনি সিদ্ধহস্ত ইংরেজি সাহিত্যে, অনুবাদ কর্মে যেহেতু তার রয়েছে অবাধ বিচরণ, সেহেতু এ সাক্ষাৎকারটি কেবল কবি মুহম্মদ নূরুল হুদাকে জানার জন্যই উপযোগী নয়, সাহিত্যের খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ ও প্রয়োগে কাজে আসবে। এই বইয়ের সাক্ষাৎকারগুলোর কিছু বেশ পদ্ধতিগতভাবে গ্রহণ করা হয়েছে, একটি কালোত্তীর্ণতার দিকে যাত্রার প্রবণতা আছে এবং কবিও তার বিশ্বাস ও বাকবিদগ্ধতার সঙ্গে উত্তর দিয়েছেন প্রশ্নগুলোর। একার্থে বলা চলে, চালাকি কিংবা কিতাবি করার তাগিদ ছিল না কোনো পক্ষ থেকেই। সাহিত্যের প্রয়োজনেই গড়ে উঠেছে সাক্ষাৎকারগুলো। এটি ভালো যে সাক্ষাৎকারগুলো তার কবিতার মতো ইঙ্গিত ও প্রতীকী না হয়ে যৌক্তিক সারল্যের ওপর দাঁড়িয়েছে।