‘খাঁচার ভেতর অচিন পাখি কেমনে আসে-যায়?’ এই একটি লাইনের ভার কত? কি পরিমাণ বোধ-শক্তি থাকলে একটি মানুষ এভাবে ভাবতে পারে! ভাবনা যদি জল হয়, তবে লালন সেখানে সমুদ্র। সেই সমুদ্রে ডুব দিতে চাইলে আপনাকে লালন নদীতে ঝাঁপ দিতেই হবে।
জলে না নেমে যেমন সাঁতার শেখা যায় না, তেমনি লালন-কে পরিপূর্ণ না জানলে সত্যিকারের মানুষ হওয়া যায় না। শিক্ষিত আর স্ব-শিক্ষিত এই দুটির মধ্যে যে ব্যবধান, তেমনি দূরত্ব অমানুষ আর মানুষের মধ্যে।
আমরা বেশিরভাগ মানুষই বৃত্তের বাইতে চিন্তা করতে পারি না। চিন্তা করতে পারি না কথাটি ভুল আসলে চিন্তা করতেই চাই না। এই চাওয়া আর না পারার মধ্যে সবথেকে বড় যে বাঁধা সেটা গোঁড়ামি,একপেশী স্বভাব আর অজ্ঞতা।
বিষাক্ত এই ব্যাপারগুলো এমনি এমনি চলে যাবে না, সেটা দূর করার জন্যে চাই শিক্ষা থুক্কু স্ব-শিক্ষা।
আমরা ভয়ংকর কেননা আমাদের পেটে বিদ্যা বলতে অপ্রয়োজনীয় কিছু পাঠ্য-বই গিলে তা উগলে একখানা সাদা কাগজের সার্টিফিকেট প্রসব করা। এই প্রসবের প্রচারে ব্যস্ত গোটা বিশ্ব।
মানুষ অনেকটা কীটের মতো, আলো দেখলে দলবেঁধে সব ঝাপিয়ে পড়ে। কিন্তু বোকা কীটগুলো এটা বুঝতে ব্যর্থ হয় যে, আলো টা সূর্যের নয় আগুনের। তারপর তো ইতিহাস!
জানার মধ্যে যে আনন্দ সেই আনন্দ পৃথিবীর অন্য কিছু দিয়ে পাওয়া মুশকিল। সেই আনন্দটুকু পেতে জানার আগ্রহটা তো থাকতে হবে! জানতে চাইলেই আপনি জেনে যাবেন। না চাইলে অন্ধকারে থেকে যাবেন। নিকষ কালো এই আঁধার দূর করতে যে আলো-গুলো প্রয়োজন তারমধ্যে অন্যতম “লালন”। আপনার জন্যে শূভ-কামনা।