দুটি গরুর মধ্যে কেবল ঘাস নিয়েই আলোচনা হয়। অ্যাভারেজ এই চিন্তা-ধারা মানুষের মধ্যে আরও প্রবল আকারে দেখা যায়। আমরা গরুও না ভেড়াও না। তবুও চিন্তার জড়তার কারণে আমরা প্রায়শই গরু আর ভেড়া হয়ে উঠি। বি:দ্র: “মন যাদের তালাবদ্ধ চিন্তা তাদের মৃত। বইটি মৃতদের জন্যে নয়।”যারা ভাবতে ভালোবাসেন। জ্ঞান যাদের একমাত্র তৃষ্ণা। জানতে যারা ব্যাকুল বইটি তাদের জন্যে। অত্যন্ত বিচক্ষণ এবং উঁচু শ্রেণির পাঠক/পাঠিকারাই বইটি পড়বেন, সংগ্রহ করবেন এবং স্ব-যত্নে রেখে দিবেন। এই বইটি আপনার প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে কাজে আসবে। আপনাকে অসম্ভব রকমের কৌতুহলী করে তুলবে। “যারা জানতে চায়, তার জেনেও যায়।”খেয়াল করে দেখুন, অসুস্থ শিশুকে সারিয়ে তোলার জন্য মায়ের মনে যে তীব্র ইচ্ছা জাগে, তাতে হাতুড়ে ডাক্তারের উপদেশেও তখন তিনি বিশ্বাস স্থাপন করেন। বিপদে পড়ে যখন কেউ হতবুদ্ধি হয়ে পড়েন ও বিপদ থেকে উদ্ধার পাবার প্রবল ইচ্ছা যখন তার মনে জাগে, তখন যেকোন ব্যক্তির যেকোন উপদেশেই সেই ব্যক্তি বিশ্বাস স্থাপন করেন। মনে ভয় জাগলে আমরা আজগুবি ঘটনাও বিশ্বাস করে বসি। অনেক সময় অহঙ্কার মানুষকে এতই অন্ধকারে ফেলে যে, সে নিজেকে সবার থেকে বেশি বুদ্ধিমান বলে মনে করে এবং তা বিশ্বাসও করে। যদি কোন ব্যক্তি অন্যের উপর রেগে যায় তাহলে সে তার বিরুদ্ধে যে কোন অভিযোগকেই সত্য বলে বিশ্বাস করে। অপরদিকে শ্রদ্ধার আতিশয্যে আমরা কোন ব্যক্তির যে-কোন কথাতেই বিশ্বাস করি, তিনি যতই অবাস্তব কথা বলুন না কেন। যে ব্যক্তি ঈশ্বরে বিশ্বাস করে, ঈশ্বরের অস্তিত্ব সম্পর্কে সে নিশ্চিত, ঈশ্বরকে সে বাস্তব বলে মনে করেন। বিশ্বাসের বিপরীত হল সংশয়, অবিশ্বাস নয়। অবিশ্বাস বলতে আসলে বিশ্বাসের অভাবকে বোঝায় না, বরং সেটার বদলে অন্য কিছুতে বিশ্বাসকে বোঝায়। তাই অবিশ্বাসও আসলে এক ধরণের বিশ্বাস। যার মনে ভূত-প্রেতের অবিশ্বাস আছে, সে ভূত-প্রেতের অস্তিত্বহীনতায় বিশ্বাস করে। আপনি খুব করে চাইলেও এসব বই খুঁজে খুব একটা বের করতে পারবেন না।