আমরা যদি বর্তমান বিশ্বের দিকে খেয়াল করি, ৩০ মিলিয়ন মানুষ টাইফয়েডে আক্রান্ত, ৬০০০ মিলিয়ন মানুষ পেটের পীড়ায় আক্রান্ত, ২৬০ মিলিয়ন মানুষ আমাশয়ে আক্রান্ত, ৭ মিলিয়ন কলেরায় এবং ৫ মিলিয়ন হেপাটাইটিসে আক্রান্ত। এই রোগগুলো প্রতিবছর ৩ মিলিয়ন মানুষ মারা যাচ্ছে। আমরা গৃহযুদ্ধে মরার খবর শুনি, ভূমিকম্প বা নানান দূর্ঘটনায় মরার খবর শুনে কাঁদি, কিন্তু শুধু অপরিচ্ছনতার কারণে যে কী পরিমাণ মানুষ মারা যাচ্ছে, তার খবর আমরা জানি না, শুনিও না। এই বিশাল মৃত্যুর পেছনে কারণ হচ্ছে, নবিজির অতি সহজ একটি সুন্নাহ মেনে না চলা। আর হচ্ছে তা হচ্ছে পরিচ্ছন্নতা।
.
বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা যায় যে শরীরের উপরের অংশ হাত এবং নিচের অংশ পায়ের মধ্যে রক্ত সঞ্চালন খুব কম হয়। কারণ এ অংশগুলো শরীরের কেন্দ্র থেকে খানিকটা দূরে, মানে হৃদপিণ্ড থেকে দূরে। এজন্য ওজুর সময় সে অংশগুলো ধোয়া এবং ঘষার ফলে সেসব অংশে রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায়। এছাড়াও শরীরের শক্তিস্তর বেড়ে যায় এবং সজীবতা চলে আসে। এটিও গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে সূর্যের অতিবেগুণী রশ্মি ত্বকের ক্যান্সারের কারণ। নিয়মিত ওজু করলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায়। কারণ ওজুর মাধ্যমে আমরা সেসব অঙ্গগুলোকে ধৌত করি যা সৌররশ্মির ঝুঁকির মধ্যে থাকে।
.
রাসূল ﷺ- এর সূন্নাতের মাঝে যে কত উপকারিতা বিদ্যমান, যা বিজ্ঞান আজ আবিষ্কার করছে, তা এক দুই পোষ্টে লিখে শেষ করা সম্ভব নয়। এরকম অসংখ্য অজানা উপকার এবং গবেষণার ফল নিয়ে সাজানো ‘ইসলামিক পথ্য’ বইটি। রাসূলের দেখানো কোন খাদ্যে কী গুণ, কোন আমলে দেহের কী উপকারিতা.. কোনো কিছু বাদ যায়নি। রসূলের সুন্নাতের আলোকে সুস্থ সুন্দর জীবন গঠনে এই বইটির মতো দ্বিতীয় বই বাংলায় মেলা ভার।