চলন্ত ট্রেনে আজিম সাহেবের পাশে হঠাৎ এক যুবতী মেয়ে এসে বসল। ছাত্রীর বয়সী হবে। সামনের সিট দুটো খালি। আর কেউ বসছে না। মেয়েটা অনবরত কথা বলেই যাচ্ছে। আজিম সাহেব কিছুটা বিরক্ত। সেটা প্রকাশ করতে চাচ্ছেন না, কিন্তু লুকিয়েও রাখতে পারছেন না। সামাজিকতা বিষয়টা আজিম সাহেব কমই আয়ত্ব করতে পেরেছেন। অন্যের সাথে মিলামেশা যে করেন না তাও না। বরঞ্চ তাকেই গল্প শোনাতে আসেন অনেকে। এই যেমন, প্রাচুর্যের মধ্যে বেড়ে ওঠা রওনকের কথাই ধরুন। তিনবছর ধরে অনার্স প্রথম বছরেই আছে। এ নিয়ে রাজ্যের সবাই চিন্তায় মরে যাচ্ছে, কিন্তু তার কোনো ভাবাবেগ নেই। আসলে তার আছে গভীর পরিকল্পনা।
পরিকল্পনা কি ধ্বংসাত্মক,
খোলাসা হয়নি। আবার, রংপুর থেকে ডায়েরি পাঠিয়েছে শাপলা। কিন্তু সেটা পড়তে হবে খুব সাবধানে। গোপনীয়তা
রক্ষা করতে না পারলে ডায়েরি না খোলার অনুরোধ তার। বেশ শক্ত করেই বেঁধে দিয়েছে সে। এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকর্মী বোরহান উদ্দিনের গবেষণা পেপার বিখ্যাত ন্যাচার জার্নালে প্রকাশ হয়েছে। এ নিয়ে রীতিমত হুলুস্থুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। একজন লেকচারারের
এত বড় কীর্তি! কিন্তু বোরহান উদ্দিনের
আছে অন্য এক গল্প। এই মেয়েটিও কি কোনো গল্প শোনাবে? তার মধ্যেও কি চলছে ‘হইচই’? কি নিয়ে এত হইচই?