লেখকের ধারণা, মানুষের মনের মতো ভাষাও একটা ‘অসম্ভব’ জটিল বিষয়, বিশেষ করে যন্ত্রের ‘পার্সপেক্টিভ’ থেকে। ওনার কথা হচ্ছে, যন্ত্র যদি ভাষাকে জয় করতে পারে, তাহলে যন্ত্রকে দিয়ে সব করানো সম্ভব। ব্যাপারটা এমন— যন্ত্র যদি ক্লায়েন্টের হয়ে আইনি ‘কন্ট্রাক্ট’ ডকুমেন্ট, হেলথ রেকর্ড, ফিন্যান্সিয়াল অ্যানালাইসিস দেখে দিতে পারে, তাহলে এই জায়গাগুলোতে বেশ ভালো এগিয়েছে বলা যাবে। লেখক যদি এ রকম একটা জটিল বই মুখের কথায় নামিয়ে দিতে পারেন, তাহলে বাংলাও এগিয়েছে প্রযুক্তির সঙ্গে। এই জাদুর পেছনে রয়েছে ‘নিউরাল নেটওয়ার্ক’।
তবে, লেখক চাচ্ছেন বাংলাকে সর্বস্তরে নিয়ে যেতে— সরকারি-বেসরকারি সার্ভিস ডেলিভারিতে। এত মানুষ, সার্ভিস ডেলিভারিতে অটোমেশন না এলে একজীবনে মানুষের অনেক চাওয়াই অপূর্ণ থেকে যাবে। ‘ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং’ সেই জাদুর কাঠির একটা অংশ। রাষ্ট্রের সঙ্গে জনগণের সম্পৃক্ততা আরও মানবিক হতে পারে যখন জনগণের চাহিদার ভাষা বুঝতে পারবে অটোমেশন ইন্টারফেস। বাংলা নথিপত্র ‘ডিজিটাইজড’ হয়ে গেলে সার্ভিস সময় নেমে আসবে কয়েক ঘণ্টায়।