রাষ্ট্র, মনুষ্যত্ব এবং যৌথ ও ব্যক্তিগত ইতিহাসের বিকল্প বয়ান বিষ্ফোরিত হয়েছে শাহমান মৈশানের এই দুই নাটকে। উত্তরপ্রজন্মের মন ও কল্পনা সঞ্চালনের তাগিদের প্রতি নিবিষ্ট এক তাড়ন ও সংবেদনা স্বাক্ষর করেছে এই দুই নাটকের প্রতিটি সংলাপে— আলাপে-প্রলাপে-প্রস্তাবে।
সময়, সম্পর্ক, স্মৃতি, দাম্পত্য, প্রেম, রাজনীতি ও সত্তার অন্তর্গত নির্দেশসমূহ জঠরে নিয়ে এক নতুন নাট্যভাষার চিহ্ন হয়ে ওঠে শাহমান মৈশানের এই নাটক। চিরাচরিত বলে গণ্য সম্পর্কগুলোর নিয়তি ও সমকালীন জীবনগুচ্ছের সম্ভাব্যতা বিষয়ক এক ব্যতিক্রমী ভাষ্যের রূপায়ণ ঘটেছে এই নাটকে। কালের ছত্রখান ছন্দ-সুষমা হয়ে কালচৌতিশা অবশেষে তাকিয়ে থাকে ভাবীকালের পাঠক-নির্দেশক-অভিনেতা ও দর্শকের চোখের দিকে, স্নায়ুতন্ত্রের অনিবার্য স্থিরবিন্দুটির দিকে।