“যারা সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও আমাকে দুর্দিনে সাহায্য করেনি তাদের কথা বাদই দিলাম, তবে তোমাদের কাছে আমার শেষ ওসিয়ত ও উপদেশ—ইসরাইলের কারাগারে আমার অসুস্থ বন্দি ভাইদের জুলুম-অত্যাচার ও সীমাহীন ব্যথা-বেদনার অন্ধকার ওই কারাপ্রকোষ্ঠে ফেলে রাখতে দিওনা। তোমাদের কাছে আমার আকুল আবেদন- ইসরাইলের কারাগার থেকে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্ত করে আমার প্রতি রহম করো তোমরা।”
ইসরাইল দখলদার বাহিনীর এক সেনা কর্মকর্তাকে হত্যার অভিযোগে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর থেকে বাসসাম আল-সায়েশ-এর স্ত্রীকে আটক করে
ইসরাইল।বন্দি স্ত্রীকে দেখতে এসে কারারুদ্ধ হন তিনি। দীর্ঘদিন কারাভোগের পর ৪৭ বছর বয়সী বাসসাম আল-সায়েশ অত্যাচার নির্যাতনে বিনা চিকিৎসা ও অবহেলায় কারাগারেই ইন্তেকাল করেন। রক্তসল্পতা, বোন ক্যান্সার ও হার্টের সমস্যা জর্জরিত এ ফিলিস্তিনি কারাগারে পায়নি কোনো চিকিৎসা।
এ চিঠির ভাষাই বলে দেয়, ইসরাইলের অন্ধকার কারাপ্রকোষ্ঠে অত্যাচার-নির্যাতনে মৃত্যুর অপেক্ষায় আছে সংখ্যা না জানা ফিলিস্তিনি বন্দি। যারা বাসসাম আল-সায়েশের মতোই অপেক্ষা করছে করুণ মৃত্যুর।তাদের জন্য কি সত্যিই আমার বা আপনার কিছু করার নেই ?কী দায়িত্ব তাদের প্রতি আমাদের? এ প্রশ্নগুলোর যথাযথ উত্তর প্রদানের জন্যই “ফিলিস্তিন :বেঁচে থাকার লড়াই”বইটির জন্ম।