নুড়ি হাজার বছর ঝরণায় ডুবে থেকেও রস পায় না কেননা- সে জড়! তেমনি যার শুধু দৃশ্যমাণ দুটি চোখ ব্যতিত জগৎ দেখার আর কোনো ইন্দ্রিয় নেই সেও একপ্রকার প্রতিবন্ধী। তা কেবল দৃষ্টিতেই নয় বরং বুদ্ধিতেও।
পৃথিবীর জন্যে যা ভালো, তার অনেক কিছুই তো মানুষ কেন কোনো প্রাণীর জন্যেই ভালো নয়। একটা ছাগলের জন্যে যা ভালো তা কি ভালো বিড়ালের জন্যেও? আপনার জন্যে যা ভালো তা কি ভালো আমার জন্যেও? কি ভালো কি খারাপ কোনটা গ্রহণীয় কোনটা পূঁজনীয় তার সবকিছুই তো নির্ভর করে ব্যক্তি বিশেষে তার পরিবেশ, পরিস্থিতি এবং
সময়ের উপর। অথচ নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় আমরা বেশির ভাগ ভালো-মন্দের থিওরি ছড়িয়ে দিয়েছি এবং মানুষ তা পালনে বদ্ধ পরিকর।
সফল তবে কে? স্রষ্টা না মানুষ?
স্বার্থ সিংহকেও খচ্চরে পরিণত করে, এটি সর্বজনীন সত্য। বিতর্কিত বই-ব্যতিত আর কোনো গ্রন্থের ক্ষমতা নেই সভ্যতাকে নতুন আলো দেওয়ার। মানুষ সহজে কখনোই নতুন কিছু মেনে নেয় নি, অথচ একটা সময় পর মানুষ ঠিকই তা আক্রে ধরে, ততদিনে তা পুরনো। মানুষ সবকিছুই বুঝে তবে অসময়ে। সময়ে যারা সঠিক টা বুঝে তারা জ্ঞানী, যারা অসময়ে বুঝে তারা সাধারণ আর যারা কখনোই বুঝে না তারা.....................গরু!