ধরা যাক ফিলিপাইনের জনৈক পর্যটক বাংলাদেশে এলো, ঢাকার সেগুনবাগিচাতে আলাপ হলো একজন চাকরিজীবীর সাথে, একসাথে সময় কাটালো ৫-৬ ঘন্টা। ফিলিপাইনিজ দেশে ফিরে বাঙালি চাকরিজীবীদের সামাজিক মনোজগত বই লিখলে সেখানকার উপাত্ত কি আদতেই প্রতিনিধিত্বমূলক হবে? নির্ভর করছে পর্যটক তার সঙ্গে কাটানো ৫ ঘন্টা সময়কে কোন প্রক্রিয়ায় সমৃদ্ধ করলো নিয়ামকের উপর।
আমরা যারা ৮০ বা ৯০ দশকের শিশু-কিশোর তখনকার প্রজন্মের মা-বাবার অবধারিত স্বপ্ন ছিল সন্তানকে চিকিৎসক অথবা প্রকৌশলী রূপে দেখা। আমরা প্রবেশ করেছি পেশাগত জীবনে অনেকেই হয়েছে চিকিৎসক তার পর কি হলো? চিকিৎসকের সঙ্গে সমাজের সংযোগ অথবা সংঘাতটা কোথায়, হাসপাতালের আউটডোরে, ব্যক্তিগত চেম্বারে এপ্রনের অভ্যন্তরে যে ব্যক্তিকে দেখি, মিথস্ক্রিয়া করি, ওটাই কি তার ব্যক্তিসত্তা? চিকিৎসক নিজে যখন সামাজিক গোলার্ধকে দেখেন, তার দৃষ্টিভঙ্গি নির্মিত হয় সমাজকাঠামোর কোন সূত্র মেনে, তার মনোজগতে কারা ফেলে গভীর সত্তাচিহ্ন?
আমরা সেই কৌতূহল পথেই হাঁটতে শুরু করলাম এক মধ্যবয়সী চিকিৎসকের সঙ্গে।