স্টুডেন্ট লাইফের জাতীয় খাবার হচ্ছে বাঁশ। সে জন্যই হয়তাে পরীক্ষা এলে টিচাররা বাঁশ দেয়। রেজাল্ট খারাপ হলে পাশের বাসার আন্টি বাঁশ দেয়। প্রেম করতে চাইলে যে ফ্রেন্ডটা হেল্প করতে পারত সেইই উল্টা তার নিজের সঙ্গে আংটা লাগিয়ে বাঁশ দেয়। এই রকম শত শত কচি বাঁশ, কঞ্চি বাঁশ, আইক্কাওয়ালা বাঁশকে নাশ করতেই এই বই ‘চেষ্টার জিমনেসিয়াম ফিউচারের ক্যালসিয়াম।
যাতে বাঁশ খেয়ে বেদিশা, লাইফ নিয়ে হতাশা, ফিউচার নিয়ে কুয়াশা, ভাগ্যের তামাশা, সব দুর্দশাকে মুচড়ে ফেলতে পারাে কুংফু স্টাইলে। ক্যালসিয়ামের পাওয়ার দিয়ে।
এই লেখাগুলাতে মাঝেমধ্যেই কিছু চলমান বাংলা এবং ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। এবং আন্তরিকতা বােঝাতে কখনাে কখনাে তুই বলে সম্বােধন করা হয়েছে। কারণ ঘনিষ্টতা বােঝাতে জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক মহাশয় আপনি কি আমার দুঃখ হবেন না বলে তিনি বলেছেন, ‘তুই কি আমার দুঃখ হবি? তুই কি আমার শুষ্ক চোখে অশ্রু হবি?
এই বই লিখতে জীবনের ওপার থেকে আমাকে সাহস জুগিয়েছেন আমার আব্বু। আর পাশ থেকে সহযােগিতা করে গেছেন আমার আম্মু, আমার স্ত্রী কারিনা, ছােট ভাই হীরা, বােন রিটা, নিপুণ আর নূপুর। এ ছাড়া সব সময় সহযােগিতা করে গেছে লাবীব, শারাফাত, সাজু ভাইসহ আরও অনেকেই।
ক্যালরি ঝরালে, ক্যালসিয়াম বাড়বে। সেই প্রত্যাশায়
সময়ের এক ফোঁড় অসময়ের দশ ফোঁড়
ফোঁড়া না গেলে দিলে, কষ্টে কাটবে রাতভোর
রিস্ক নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ো, মুচড়ে ফেলে সংশয়
৩ মাসেই সারতে পারবে, সারা বছরের আমাশয়
দাঁত নাই, ব্রাশ নাই, খুঁজছে তবু পেপসোডেন্ট
মরন কামড় বসায় দিতে লাগে শুধু কনফিডেন্ট
উষ্ঠা খাইয়াও চেষ্টা করো, ধইরা ভাঙ্গা বন্দুক
স্টুডেন্ট লাইফের কামাই দিয়ে ভরতে পারবে সিন্দুক
ইনিডিসিশনের চিপায় পড়ে মগজ হলে খন্ড
চালাক চতুর বাতাস পেয়ে, পোক্ত হবে দন্ড
সিক্রেট পাইয়া খুশির ঠেলায় বগল বাজায় জাম্বু
শুকনা রাস্তায় আছাড় খাইছে, না থাকায় বাম্বু
গুঁতা দিয়ে শ্রোতা খুঁজে, না পেয়ে পাত্তা
মাঞ্জামারা দিনগুলো সব, হয়ে যাচ্ছে ভর্তা
আর্জেন্ট কাজের দোহাই দিয়ে ফাঁপর মারে সার্জেন্ট
চামে দিয়া কাম সারে কদু মার্কা ডিটারজেন্ট
মরা ইঞ্জিনে খরার মাসে উতলে উঠছে যৌবন
জিদ্দি ড্রাইভারের বক্ষে লাগছে কড়া তাবিজের চুম্বন
ধন-জৌলস গায়েব হবে, হইয়া থাকলে বিন্দাস
মাইনকা চিপায় ক্রাশ খাবে পার্বতীর দেবদাস
ক্যারিয়ারে বেদিশা হয়ে, বুক করলে চিন চিন
মামা-খালুর লিংক পেলে, উপচে পড়বে আয়োডিন
স্টার্টআপ এর রিস্ক নিয়ে দেখাইতে পারলে কেরামতি
গেরিলা টেকনিকই এনে দিবে প্যারেন্টসদের সম্মতি
লো কনফিডেন্স গুঁতা মারলে লুজ হবে মেশিনারি
অক্টাল ডেসিমাল ছুতা খুঁজলেও, ভিতরে সব বাইনারি
অলসতার বড়ি গিললে, হতাশা পাবে কারখানা