আজকের মত তখনও তার কল্লা খুঁজে বেড়ানো ও তা যথাস্থানে নামানোর মানুষের অভাব ছিল না। কিন্তু স্রোতের বিপরীতে এক দন্ড মেরুদন্ড না বাঁকিয়ে সোজা দাঁড়িয়ে থাকা মানুষটাই চাণক্য।এই মানুষটাকে সামান্য জানার পর তার প্রতি আগ্রহ জন্মে নি এমনটা কোনো মানুষের ক্ষেত্রে হতেই পারে না। তবে উনার প্রতি আমার আগ্রহটা জন্মে আমার এক শিক্ষকের জনপ্রিয় ডায়লগ থেকে,
“আমি সুভাস মিত্র, আমি চলি চাণক্য নীতিতে। আমার কাছে অপরাধের কোনো ক্ষমা নেই, নেই কোনো আপোষ!”
প্রথমত চাণক্য নামের এই ভদ্র-লোকের উপর আমার বেজায় রাগ ছিল। কে এই লোক যে এতটা পাষণ্ড? যার কল্যাণে একদিন হোম ওয়ার্ক না করলেই সুভাস স্যারের গোটা ক্লাসে নীল-ডাউন হয়ে থাকতে হচ্ছে আমাদের। তারপর টুকটাক পড়াশুনা করতে শুরু করলাম উনাকে নিয়ে। কিছুদূর জানার পরই বুঝলাম উনার নীতি শুধু আমাদের সুভাস স্যার একাই নয় বরং গোটা ভারতবর্ষই চলে তার নীতিতে। অন্তত "ভারতের পররাষ্ট্রনীতি চাণক্যকে অনুসরণ করে"।
কথা কিন্তু মিথ্যা নয়, নয় আংশিক সত্য, বরং পুরোটাই সত্য। উক্ত এই বইটির গুরুত্ব আর মর্মার্থ তারাই বুঝবে যারা জীবনকে শুধু যাপন নয় বরং উপলব্ধি করতে পারে।
বি:দ্র: “বইটি সকল শ্রেণির সকল পেশাজীবির তো বটেই, বরং প্রতিটি মানুষের জীবনে অন্তত অসংখ্যবার বইটি পড়া উচিৎ সেই সাথে আজীবন তাদের সংগ্রহে রাখা উচিৎ। কেননা জীবনের প্রতিটি বাঁকে আপনার চাণক্যকে মনে পড়বে। যা আপনাকে আপনার কঠিন সময়কে সহজ করে দিবে।