আমার মনে কৌতূহল হইল, অটোগ্রাফ কেমনে দেয় দেখি।
উঁকি মেরে দেখলাম, সেখানে লেখা—
‘অনেক অনেক শুভেচ্ছাসহ
মুহম্মদ জাফর ইকবাল’
সবাইরে একই কথা লিখতেছে। আর নামটাও স্রেফ বানান করে লিখা। কোনো ঘোরানো-প্যাঁচানো স্টাইল নাই। ও রকম আমিও লিখতে পারি চাইলে। আমার কাছে নিজের স্বাক্ষর মানে শুধু প্রথম অক্ষর টানা হাতে বড় করে লেখা। ওইটা ছাড়া বাকিগুলা হবে প্যাঁচানো ও দুর্বোধ্য। যে লোক এমন নব্যসাক্ষরদের মতো নাম লেখে, তাকে মেধাহীন না ভাবার কোনো কারণই আমি পাইলাম না।
আমি ওনাকে বললাম, শুনেন, আপনার কারণে অনুষ্ঠানে অনেক ডিস্টার্ব হয়। এই একই কথা সবাইরে লিখতেছেন! আসার সময় এইটা এক হাজারটা ফটোকপি করে আনলেই পারতেন! হুদাই এত সময় নষ্ট হতো না। আপনারও হাত ব্যথা হইত না।
উনি আমার কথা শুনে হাসতে থাকলেন।
আমি বললাম, শোনেন, নেক্সট টাইম কিন্তু এইটা করবেন। মানুষরে এইসব ডিস্টার্ব দিবেন না। না হইলে আমি নিজে ফটোকপি করে নিয়ে আসব। আমি আনলে কিন্তু পার পিস পাঁচ টাকা করে বেচব। তখন কিছু বলতে পারবেন না।