গবেষণা সাধারণত যতটা কঠিন ও জটিল-প্রক্রিয়া হিসেবে বিবেচিত, সেই ধারণা থেকে বের হয়ে সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও সমাধানের জন্য গবেষণাক্ষেত্রে নমনীয় নীতিতে আবির্ভূত হয় ‘কর্মসহায়ক গবেষণা’। বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মসহায়ক গবেষণা পরিচালিত হলেও বর্তমানে শিক্ষাক্ষেত্রে, বিশেষত শ্রেণিকক্ষভিত্তিক সমস্যা সমাধানে এই গবেষণা বহুলভাবে ব্যবহৃত। উন্নত বিশ্বে কয়েক দশক ধরে বিদ্যালয়ের উন্নয়নে এই গবেষণা ব্যবহৃত হয়ে এলেও বাংলাদেশে ততটা পরিচিতি পায়নি। যার অন্যতম কারণ হলো প্রচলিত গবেষণার অনমনীয় পদ্ধতির প্রতি ভীতি এবং কর্মসহায়ক গবেষণা বিষয়ে শিক্ষকদের বোধগম্য ও সহজলভ্য বইয়ের অপ্রতুলতা।
বিদ্যালয়ের উন্নয়নের মধ্য দিয়েই শিক্ষা সামগ্রিক উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যায়। শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়ন এবং শিক্ষণ-শিখন পরিবেশ ও পদ্ধতিগত উন্নয়নের সম্মিলিত রূপই হচ্ছে বিদ্যালয়ের উন্নয়ন। যার জন্য প্রয়োজন গবেষণালব্ধ ফলাফলভিত্তিক পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন। কর্মসহায়ক গবেষণা হলো যার একটি সহজ সমাধান। প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষাক্ষেত্রের শ্রেণিকক্ষভিত্তিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সমস্যা সমাধানকল্পে শিক্ষকদের কাছে কর্মসহায়ক গবেষণার ধারণা স্পষ্ট করার প্রয়াসে ‘বিদ্যালয়ের উন্নয়নে কর্মসহায়ক গবেষণা’ বইটির রচনা। বইটিতে সহজ ভাষায় বাস্তব উদাহরণসহ কর্মসহায়ক গবেষণার বিভিন্ন বিষয়