একজন লেখক কতটা আত্মবিশ্বাসী হতে পারেন তা 'আততায়ীদের সঙ্গে কথোপকথন' পড়লে বুঝা যায়। এখানে তিনি কথা বলেছেন নানাবিধ বিষয় নিয়ে। কখনও কাউকে আক্রামণ করেছেন নিষ্ঠুর ভাবে, আবার উদার মনে করেছেন প্রশংশা। তার আক্রামণের ভাষায় স্লাং নেই, আছে সুন্দর শব্দশৈলী। প্রকৃতিপক্ষে তিনি একজন শব্দশিল্পী। বাংলা শব্দভান্ডার নিয়ে তিনি প্রচুর ভেবেছেন এবং সুযোগমত তার সার্থক প্রয়োগ ঘটিয়েছেন; এই বইয়েও তার ব্যতিক্রম নেই। এই বইয়ের প্রতিটি বাক্য উধৃতি যোগ্য। পেন্সিল দিয়ে দাগানো শুরু করলে মনে হবে
গোটা বইটাই দাগিয়ে ফেলি। মাস্টারপিস এই বইটি না পড়ে থাকলে আজই শুরু করে দিতে পারেন।
হুমায়ুন আজাদ ছিলেন অসামান্য মেধাবী। তাঁর ছিল অসম সাহস। তিনি নতুন-বৌয়ের মত মনের কথা পেটে রেখে,কিছু বলতেন না, লিখতে বসতেন না। যা লিখতেন,যা বলতেন সাহসের সাথে সত্য টা বলতেন বা লিখতেন। সত্য বলতে সাহস লাগে,সেই সাহস উনার বেশিই ছিল। তিনি জ্ঞান এবং সাহস কে সমান তালে কাজে লাগিয়েছেন। এর কারণে-ই তিনি ছিলেন এত বিতর্কিত।
কপটতা,দূর্নীতিতে ওস্তাদ আর মস্তিষ্ক পঁচে যাওয়া লোকেদের নিকট এই বইটা একটা অ্যান্টিভায়োটিক।