বি:দ্র: “সময় থাকতেই সংগ্রহ করুন বাংলাদেশের কালো ইতিহাসের স্বচ্ছ এই দলিলটি”। বইটি এতদিন শুধু নি*ষি*দ্ধ*ই ছিল না বরং একটা সময় এমনও ছিল যে, বইটি কারও হাতে দেখা মাত্রই পু*লি*শ ডিরেক্ট গ্রে*ফ*তা*র অব্ধি করতো।
“সিরাজুল আলম খান” কে বলা হয় রা*জ*নী*তি*র সবচেয়ে রহস্য-মানব।"
বইটি পড়তে গিয়ে তা যেন আরও ব্যাপক ভাবে উপলব্ধি করলাম। বাংলার ইতিহাস যদি হয় কালো তবে সিরাজুল আলম খান সেখানে ঘোর অমাবস্যা। হাসানুল হক ইনু একবার উনার সম্পর্কে বলেছিলেন,
“ষাটের দশকে বঙ্গবন্ধু এবং সিরাজুল আলম খান ছিল যেন একই আত্মার দুটি দেহ।”
অথচ খেয়াল করুন আমরা অনেকেই উনার সম্পর্কে খুব একটা জানিনা। তারপরেও কি খটকা লাগছে না আপনার? আপনি জাপান চিনেন, থাইল্যান্ড চিনেন, চেনেন আমেরিকাও শুধু চিনলেন না নিজ গ্রামটা। আপনি খবর রাখেন পু*তি*নে*র, ট্রা*ম্পে*র অথচ রাখেন না খবর প্রতিবেশীর! খেলা টা এখানেই। এটা শুধু আপনি একা নন, আমি, আপনি, আমরা বেশিরভাগ মানুষই এমন!
বেশিরভাগ আর সবার মধ্যে থেকে বেশিরভাগ বিয়োগ করলে যে কয়জন অবশিষ্ট থাকে সত্যি বলতে এরা জিনিয়াস। এরা সচেতন। এদেরকে ধোঁকা দেওয়া শুধু মুশকিলই নয় বরং অসম্ভবও বটে।
বইটিকে জীবনে শুধু একবার পড়তেই বলবো না বরং বলবো আজীবন সংগ্রহে রাখুন। এমন জিনিস সচরাচর মিলে না। কেননা সময় এমন এক জিনিস যা তার অনুকূলে দূর্লভ আর প্রতিকূলে হয়ে ওঠে স্বস্তা। ব্যক্তি বি*দ্দ্বে*ষ, রা*জ*নৈ*তি*ক মতাদর্শ এমনকি স্বার্থকেন্দ্রিকতার উপরে গিয়ে বইটি পড়তে শুরু করুন।