অস্তিত্বের অন্তঃপুরে বিশেষ কোনো ইউনিক বৈশিষ্ট্য কি লুকিয়ে থাকে ব্যক্তিমাত্রেরই? সকলেই কি কোনো না কোনো গিফট নিয়ে জন্মায়? বলা সহজ নয়, তবে যে বা যারা নিজস্ব এই গিফটকে ব্যক্তি জীবনের কর্মে, সফলতায় অনূদিত করতে পারে, তারাই হয়তো জনমানবের রাডারে ধরা পড়ে বাস্তবে। প্রশ্ন হচ্ছে, এই যে বইটিকে আদতে মার্কেটিং বা সেলসের নন ফিকশন বই বলেই মনে হচ্ছে, তার সাথে ব্যক্তি মানুষের বিশেষত্ব অনুসন্ধানের কী সম্পর্ক? সেলসম্যানশিপ শব্দটি শোনামাত্রই প্রথম কোন অনুভূতি তৈরি হয়? আড্ডায় এই প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়ার সাথে সাথেই মেজরিটির অভিমত, কানের কাছে মশার প্যানপ্যানানির মতোই বিরক্তিকর! কয়েকজন এমনটাও বললেন যে, সেলসম্যানদের ধান্দাবাজি করে কোনো কিছু বিক্রি করা ছাড়া আর কোনো উদ্দেশ্য নেই জীবনে। মূল আর্গুমেন্ট এখান থেকেই শুরু! বইটি লেখার সময়ে ’সেলসম্যানশিপ’ টার্মকে ব্রেক ডাউন করে উপলব্ধি দাঁড়ায়- সেলসম্যানশিপ মানে নিজের ব্যাপারে পজিটিভ ইম্প্রেশন তৈরি, আস্থার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সূচনা, যা মূলত মানব সম্পর্কের ইকোসিস্টেমের গুরুত্বপূর্ণ পার্ট। যে কারণে সেলসম্যানশিপের পরিধি কীভাবে বিজনেসকে ছাপিয়ে জীবনের অসীম ভান্ডারে ব্যাপ্ত হয়েছে, তার অনুসন্ধানেই কনভেনশনাল চিন্তাকে পার হয়ে বাঁকা পথে চিন্তা-যুক্তি-বাস্তবতার আনাগোনা! সেলসম্যানশিপ কীভাবে একজন মানুষের জন্মসূত্রে প্রাপ্ত ইউনিক বৈশিষ্ট্য হতে পারে- এই অসামান্য গল্প শোনার নিমন্ত্রণ রইলো!