“আমার অবিশ্বাস”, বইটির প্রতিটি পরিচ্ছেদে তিনি শুধু প্রথার বিরুদ্ধেই তার অবিশ্বাস দেখাননি,অনেক গভীরতম বিষয়েও তার অবিশ্বাসের কথা বলেছেন। যেন মনে হয় এই দেশে ওই সময়ে তিনিই বড় করে বলতে পারতেন ‘আমি অবিশ্বাসী’।
অমরতা চাইনা আমি, বেঁচে থাকতে চাইনা একশো বছর; আমি প্রস্তুত, তবে আজ নয়। চলে যাওয়ার পর কিছু চাই না আমি; দেহ বা দ্রাক্ষা, ওষ্ঠ বা অমৃত; তবে এখনি যেতে চাইনা; তাৎপর্যহীন জীবনকে আমার ইন্দ্রিয়গুলো দিয়ে আমি আরো কিছুকাল তাৎপর্যপূর্ণ করে যেতে চাই। আরো কিছুকাল আমি নক্ষত্র দেখতে
চাই, নারী দেখতে চাই, শিশির ছুঁতে চাই, ঘাসের গন্ধ পেতে চাই, পানীয়র স্বাদ পেতে চাই, বর্ণমালা আর ধ্বণিপুঞ্জের সাথে জড়িয়ে থাকতে চাই। আরো কিছুদিন আমি হেসে যেতে চাই। একদিন নামবে অন্ধকার- মহাজগতের থেকে বিপুল, মহাকালের থেকে অনন্ত; কিন্তু ঘুমিয়ে পড়ার আগে আমি আরো কিছুদূর যেতে চাই। জীবন অর্থহীণ, তাৎপর্যহীন এবং ইহাই জীবনের সৌন্দর্য্য। শুন্য হয়ে এসেছি,শুন্য হাতেই ফিরে যাব।