কোনো ব্যাক্তি বা তার কর্মকাণ্ডকে বিশ্বাস করার আগে প্রশ্ন করতে শিখুন। প্রশ্ন করুন নিজেকে, নিজের বিশ্বাসকে। প্রশ্নাতীত ভাবে আপনি যে বিশ্বাসটা করেন, সেটা অবশ্যই অন্ধবিশ্বাস। অন্ধ বিশ্বাস সান্ত্বনাদায়ক হতে পারে, কিন্তু এটি সহজেই যুক্তি এবং উত্পাদনশীলতাকে পঙ্গু করে দিতে পারে এবং বুদ্ধিবৃত্তিক অগ্রগতি বন্ধ করে দিতে পারে। তাই কোনো কিছুতে প্রশ্নাতীত ভাবে অন্ধবিশ্বাস নয়, বরং আপনার আল্টিমেট লক্ষ্য হওয়া উচিত কোনো বিষয়কে প্রথমে বুঝতে পারার ক্ষমতা তৈরি করা।
হুমায়ুন আজাদ শুধু প্রথার বিরুদ্ধেই তার অবিশ্বাস দেখাননি,অনেক গভীরতম বিষয়েও তার অবিশ্বাসের কথা বলেছেন। যেন মনে হয় এই দেশে ওই সময়ে তিনিই বড় করে বলতে পারতেন ‘আমি অবিশ্বাসী’।
প্রশ্নটা বিশ্বাস-অবিশ্বাসের নয়। খেলাটা সত্য-মিথ্যার! এটা এমন এক খেলা যে খেলা বুঝতে হলে প্রথমে বুঝতে হবে নিজেকে। ধুলোর ভয়ে যদি কেউ রাস্তায় বের হতে না চায়, সে গন্তব্যে পৌছাবে কি করে? গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে গন্তব্য, ধুলো নয়। দিনশেষে জানতে চাওয়াটা জরুরি। জ্ঞান চর্চার চেয়ে উত্তম এবং সুন্দর এই পৃথিবীতে আর কিছুই নেই। সুন্দরকে যারা উপেক্ষা করে তারা আমৃত্যু শুধু সত্যই খুঁজে কিন্তু পায় কেবলই ভ্রম। বইটি সম্বন্ধে বলতে গেলে বইটি অবধারিত ভাবেই মোড় নেয় প্রচলিত বিশ্বাসের বিপক্ষে। প্রকাশ্যে এমন দূর্জয় সাহস আর যৌক্তিক বাক্যগুলা আপনার ভাবনার জগৎকে প্রসারিত করবে। চিন্তায় বড় করবে। আপনাকে আরও জানতে আগ্রহী করে তুলবে।
“ He touches some deep questions and explore elegantly. I cannot find my own words to sum up this beautiful book. The key takeaway from this masterful art in Author's own words.”