কি যেন এক সরকারি ফর্ম পূরণ করছি। ৪ পৃষ্ঠার লম্বা ফর্ম। নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, বর্তমান ঠিকানা, স্থায়ী ঠিকানা… নানা বিতং…. আমি সম্পূর্ণ নিজের অজান্তে স্থায়ী ঠিকানার জায়গায় লিখে দিলাম, ফেসবুক। আসলেই আমার স্থায়ী এবং বর্তমান দুটো ঠিকানাই হচ্ছে ফেসবুক। ফেসবুককে আমি যে পরিমাণ সময় দেই, তার দশ ভাগের এক ভাগ সময় যদি আমার প্রেমিকাকে দিতাম, তাহলে তিনি শত সন্তানের জননী হতেন… কিংবা সেই সময় আমার স্ত্রীকে দিলে তার চোখে আমি হতাম শত বর্ষের শ্রেষ্ঠ স্বামী সেই সময় পড়াশোনায় দিলে পুরো টেলিফোন ডিরেক্টরি মুখস্থ বলতে পারতাম। সেই সময় লেখালেখিতে দিলে, তিনটি গীতাঞ্জলি দুটো সঞ্চয়িতা এবং চারটি গল্পগুচ্ছ লেখা হয়ে যেতো। সেই সময় ঈশ্বরকে দিলে, স্বয়ং ঈশ্বর এসে ধরা দিতেন আমার সামনে… এই ফেসবুক হয়তো চিরদিন থাকবে না। সময়ের প্রয়োজনে নতুন কিছু এসে ফেসবুকের জায়গা দখল করবে। কিন্ত পরিবার পরিজন, বাচ্চা স্ত্রী এমনকি প্রেমিকাকে ফেলে যে পরিমাণ সময় আমি ফেসবুককে দিয়েছি তার একটা রেকর্ড থাকা দারকার। বইটা এই কারণে করা। যাতে ইতিহাসে লেখা থাকে, এক যে ছিল ফেসবুক, তাকে ভালোবাসতো রবি…. গরীবের আল্লাহ আর ফেসবুক ছাড়া কিছুই নাই। সবার জীবন লাইকময় হোক।