“আমরা সাধারণত কোনো কিছুকে জানি আমাদের আরোপিত বৈশিষ্ট্য ও ধারণা ইত্যাদি দিয়ে। কিন্তু আমাদের এ জ্ঞাত (!) বিষয়টি ‘স্বয়ং’ কী— তা সম্পর্কে আমরা অনিবার্যভাবে অন্ধকারেই থেকে যাই। এ অজ্ঞতা থেকে কি কোনো মুক্তি নেই? জ্ঞানের উৎসাবলির উপর আমাদের প্রতিফলন আমাদেরকে নিরাশ করে। এ নিরাশার প্রথম ধাক্কা মেটাফিজিকস, আত্মা ও ঈশ্বরসংক্রান্ত আলোচনার ভিত কাঁপিয়ে দেয়। আল্লামা ইকবাল জ্ঞানের অন্যান্য অনুষদের মতো ‘স্বজ্ঞা’ কেও একটা সাধারণ উৎস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রয়াস পেয়েছেন এবং স্বজ্ঞার বৈশিষ্ট্যাবলি নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে বিবৃত করেছেন।
ফলত, তাঁর জন্য আত্মা ও ঈশ্বর নিয়ে অভিজ্ঞতাপ্রাপ্তির আলোচনা করা এবং আমাদেরকেও এর মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।”