বলা হয়ে থাকে আগামী একশ বছর হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও স্নায়ুবিজ্ঞানের উৎকর্ষের। একদিকে মানুষ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে অনেক অসম্ভবপ্রায় সমস্যার সমাধান করবে এবং স্নায়ুবিজ্ঞান ও জেনেটিকসের জ্ঞান প্রসারণের ফলে নিজের সামর্থ্যের সর্বোচ্চটুকু আদায় করে নেবে। স্নায়ুবিজ্ঞান হচ্ছে মস্তিষ্কের বিজ্ঞান, কীভাবে মানব মস্তিষ্ক মানুষের বিভিন্ন আচরণের জন্ম দেয়, কীভাবে সেইসব আচরণকে প্রভাবিত ও নিয়ন্ত্রণ করে; কীভাবে মানব মস্তিষ্ক গঠিত হয়, মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের কাজ কী, কোন অংশের কী ক্ষতিসাধনে কী রূপ ব্যাধি কিংবা সমস্যার জন্ম হতে পারে ইত্যাদি বিষয়ের বিজ্ঞান।
অনেক শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সাথে কথা বলে লেখক টের পেয়েছেন যে, স্নায়ুবিজ্ঞান সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা রাখেন না। তাই কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের (আন্ডারগ্র্যাজুয়েট) শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে লেখক সহজবোধ্য ভাষায় এই বইটি লিখেছেন।
এটি জনপ্রিয় বিজ্ঞানের বই নয়, বরং কিছুটা একাডেমিক ধরনের। বইটি পাঠে স্নায়ুবিজ্ঞানের প্রতি পাঠকের আগ্রহ বাড়বে।